24.8 C
Dhaka
Tuesday, July 8, 2025

সার্টিফিকেটে নাম ও জন্মতারিখ ভুল, নতুন নিয়মে ঘরে বসেই ঠিক করুন!

সার্টিফিকেটে নাম, পিতামাতার নাম বা জন্মতারিখে ভুল—এটি অনেকের কাছেই এক বিভ্রান্তিকর অভিজ্ঞতা। আগে এই ভুল সংশোধন করতে দীর্ঘ লাইন, ঘুষ-দৌড়ঝাঁপ ও মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন বদলে গেছে নিয়ম। শিক্ষা বোর্ডগুলো চালু করেছে আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ঘরে বসেই অনলাইনে সার্টিফিকেট সংশোধন করা যাচ্ছে খুব সহজে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে অনলাইনে ধাপে ধাপে সার্টিফিকেট সংশোধন করবেন:

ধাপ ১: বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুনপ্রথমে আপনার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান:

ঢাকা বোর্ড: dhakaeducationboard.gov.bd

আরও পড়ুনঃ  সেনাপ্রধানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন জাতির জন্য ভালো হবে না: এ্যানি

চট্টগ্রাম বোর্ড: bise-ctg.gov.bd

অন্য বোর্ডের ক্ষেত্রে গুগলে “বোর্ডের নাম + education board” লিখে সার্চ করুন।

ধাপ ২: “অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন” অপশন নির্বাচন করুনওয়েবসাইটে গিয়ে “অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন” মেনুতে ক্লিক করে “নাম ও বয়স সংশোধনের আবেদন” অপশন বেছে নিন।

ধাপ ৩: ইনস্টিটিউট লগইন (EIIN ও পাসওয়ার্ড)স্কুল/কলেজ থেকে পাওয়া EIIN নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

ধাপ ৪: আবেদন ফর্ম পূরণপরীক্ষার ধরন: JSC / SSC / HSC

পাশের সাল, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর

কোন তথ্য সংশোধন করবেন তা নির্বাচন করুন (নাম, জন্মতারিখ ইত্যাদি) নোট: একসঙ্গে নাম ও জন্মতারিখ পরিবর্তন করা যাবে না—আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অর্ধশত হত্যা মামলা

ধাপ ৫: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোডজন্ম নিবন্ধন সনদ

পিতামাতার NID

পূর্বের শিক্ষাগত সনদ

নোটারি পাবলিকের এফিডেভিট

পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের PDF কপি

ধাপ ৬: অনলাইনে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিনprocharok.com ওয়েবসাইটে গিয়ে “শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন দিন” অপশনে গিয়ে সংশোধনের বিজ্ঞাপন দিন।বিকাশে টাকা পাঠিয়ে পেমেন্ট করুন। ইমেইলে পাবেন PDF কপি।

ধাপ ৭: সোনালী স্লিপের মাধ্যমে ফি প্রদানআবেদন ফর্ম পূরণের পরে “সোনালী স্লিপ” অপশন বেছে নিন

অনলাইনে বা সরাসরি ব্যাংকে টাকা জমা দিন

ধাপ ৮: যাচাই ও ভাইভাবোর্ড কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই করবে, প্রয়োজনে ভাইভায় ডাকতে পারে।ভাইভায় গেলে সব মূল কপি সঙ্গে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  সাবেক এমপি শিবলী সাদিকসহ ১২৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

কতদিন লাগে?সাধারণত ২–৩ মাসের মধ্যে সংশোধনের কাজ সম্পন্ন হয়। তবে বোর্ডভেদে সময় কম-বেশি হতে পারে।

নতুন সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন?আবেদন গৃহীত হলে পুরনো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে নির্দিষ্ট তারিখে সংশোধিত সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।

এই ডিজিটাল পদ্ধতি আপনার সময়, টাকা এবং ঝামেলা—সবই বাঁচাবে। এখন আর ভোগান্তির দিন শেষ, মাত্র কয়েকটি ধাপে মিলবে সঠিক ও হালনাগাদ সার্টিফিকেট।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ