24.8 C
Dhaka
Tuesday, July 8, 2025

বেরিয়ে এলো আসল ঘটনা : যে কারনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পায়ে ধরেছিলেন রেহেনা!

গণবিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ—ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে শেষ মুহূর্তে ছোট বোন শেখ রেহানার অনুরোধ, এমনকি পায়ে ধরার ঘটনায় অবশেষে পদত্যাগে রাজি হন শেখ হাসিনা।

এই ঐতিহাসিক ঘটনার অজানা অধ্যায় উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক গোপন তদন্ত প্রতিবেদনে, যা আজ (২৫ মে) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আদালতে প্রকাশ করেন।

কী ঘটেছিল ৫ আগস্ট সকালে?যখন ছাত্র-জনতার ঢেউ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে, তখনো ক্ষমতা ছাড়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চিফ প্রসিকিউটরের ভাষ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এক ঘণ্টা তিনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের চাপ দিতে থাকেন। ক্ষমতা ছাড়ার পরিবর্তে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেন। তিনি বিশ্বাস করতে চাইছিলেন না যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সেনা সদস্যদের এক দিনের বেতন

ছোট বোন শেখ রেহানার আবেগঘন ভূমিকাযখন পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছিল, তখনই ঘটল নাটকীয় মোড়।শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে বোঝান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।এরপর রেহানা শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে পায়ে ধরেন এবং অনুরোধ করেন পদত্যাগ করতে।তবুও শেখ হাসিনা রাজি হচ্ছিলেন না, তাই বিদেশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ফোনে সংযোগ করা হয়। জয় কথা বলেন মায়ের সঙ্গে।এরপরই শেখ হাসিনা পদত্যাগে সম্মত হন।

৪৫ মিনিটে দেশত্যাগ: সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়প্রথমে শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে চাইলেও গোয়েন্দা তথ্য আসে—শাহবাগ ও উত্তরা থেকে ছাত্র-জনতা গণভবনের দিকে রওনা হয়েছে, মাত্র ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে গণভবনে পৌঁছে যেতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

তখন আর সময় দেওয়া হয়নি। দ্রুত তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দরে নেওয়া হয় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে।সেখান থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে উড্ডয়ন করে ভারতের ত্রিপুরা হয়ে দিল্লি পৌঁছান। পরবর্তীতে লন্ডন যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও উঠে আসে।

কী ছিল সেই প্রতিবেদন?প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—

শেখ হাসিনার পক্ষে ২২৭টি হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্রীয় সহায়তার অভিযোগ

সেনাবাহিনী ও পুলিশকে চূড়ান্ত বলপ্রয়োগে বাধ্য করার চেষ্টা

ক্ষমতা ছাড়তে না চাওয়ার প্রবল জেদ

শেষ পর্যন্ত পারিবারিক চাপে দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত

অতীত ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়—২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন

আরও পড়ুনঃ  ‘৪৮ ঘণ্টা ভাত কি জিনিস চোখে দেখিনি’

২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিতর্কিত নির্বাচন

২০২৪ সালের ‘ডামি নির্বাচন’ নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা

আর ২০২৫ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতন

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ