24.8 C
Dhaka
Tuesday, July 8, 2025

পদোন্নতি পেলেন সেই সারোয়ার আলম

অবশেষে উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন একসময়ের আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা পোস্টকে তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

সারওয়ার আলম নিজেই নিশ্চিত করেছেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, তিনবার বঞ্চিত হওয়ার পর আজ উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলাম। আলহামদুলিল্লাহ্। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী।

১৪ বছরের বেশি সময় ধরে প্রশাসনে কর্মরত থাকলেও পদোন্নতি হয়নি সারওয়ারের। এর আগে ২০২২ সালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে তিরস্কার সূচক লঘুদণ্ডের শাস্তি পেয়েছিলেন সেসময়ের র‌্যাবের আলোচিত এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় এবং তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। তবে সারওয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো লিখিত বক্তব্য দেননি।

আরও পড়ুনঃ  ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে হাত অবশ করে দেওয়া হবে: জামায়াত আমির

তার পদোন্নতি না পাওয়ার ঘটনাটি ওই সময়ের বেশ আলোচিত বিষয় ছিল। তখন মো. সারওয়ার আলম বলেছিলেন, আমার পদোন্নতি না হওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে অনেক সরকারি কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা অবাক হয়েছেন। তবে এটাই বাস্তবতা।

এদিকে আজ (মঙ্গলবার) সারোয়ার আলমসহ উপসচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়েছেন ১১৭ কর্মকর্তা। তারা পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন।

সারওয়ার আলম ২৭তম বিসিএসে ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেন। ছয় ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় সারওয়ার।

আরও পড়ুনঃ  ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখতে বললেন জয়

সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত পাওয়া সারওয়ার আলম র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‌্যাব) যোগদানের পর থেকে সব সময় আলোচিত ছিলেন। কর্মদক্ষতা আর নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে গেছেন বারংবার। ব্যক্তিস্বার্থ নয়, বরং তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন দেশ ও জনগণের স্বার্থকে। স্বার্থান্বেষী মহল তার কাজে অসন্তুষ্ট থাকলেও জনগণ তাকে অফুরান ভালোবাসা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে।

১৯৮৩ সালে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় বাড়ির পাশের ইসমাইল মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ১৯৯৩ সালে পাকুন্দিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয় (বর্তমান পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়) থেকে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেয়ে ভর্তি হয় কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজে।

আরও পড়ুনঃ  নারীর আবেগে রাজনীতি, মোদির সিঁদুর কৌশলে সরব সুনায়না চৌটালা

১৯৯৫ সালে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর পাস করেন তিনি। সারওয়ার আলম ২০০৮ সালে ২৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দেন প্রশাসনে।

মো. সারওয়ার আলম ২০০৯ সালে চট্টগ্রামের মেয়ে সানজিদা শারমিন লিন্ডার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের চারটি মেয়ে রয়েছে। যাদের নাম মাহরিন সামারা, নাজিফা সাফরিন, তানহা ও মানহা।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ