25.2 C
Dhaka
Tuesday, July 8, 2025

ব্যবসায়ীকে জেলে পাঠিয়ে সুন্দরী স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেন সালমান এফ রহমান

হাজার হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ এবং ব্যাংক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির জন্যই বরাবর কুখ্যাত সালমান এফ রহমান। এবার বেরিয়ে এলো তার নারী লিপ্সার কাহিনী।

সুন্দরী টিভি উপস্থাপক জাকিয়া তাজিনকে দেখেই লোলুপ লিপ্সায় মাতেন সালমান এফ রহমান। ছলেবলে কৌশলে তাকে টেনে নেন নিজের কাছে। আর তাজিনও নিজের স্বামীকে দূরে ঠেলে হয়ে ওঠেন সালমানের প্রিয়ভাজন। ভেতরে-বাইরে পুরোপুরি বিপরীত রূপ ধরা পড়ে দরবেশ খ্যাত ব্যবসায়ী-রাজনীতিক সালমানের।

বাইরে সফেদ সালমানের ভেতরটা যে কতটা নিকষ কালো, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন ইনডেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল্লাহ আল মুনির। সালমান এফ রহমান কেড়ে নিয়েছেন তার সুন্দরী স্ত্রীকে। এমনকি কেড়ে নিয়েছেন তার অনেক ব্যবসা-বাণিজ্যও।

এ বিষয়ে ইনডেক্স গ্রুপের এমডি শফিউল্লাহ আল মুনির একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, উনি (জাকিয়া তাজিন) এক সময় শেয়ার মার্কেট বিষয়ক নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে কাজ করতেন বিটিভি বা একুশে টিভিতে। তখন থেকেই ওনার সঙ্গে সালমান এফ রহমানের একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। সবাই বলে- তাদের মধ্যে কোনো আইনগত বৈধ সম্পর্ক ছিল না। অনেকেরই ধারণা, তাদের মধ্যে একটা বাজে সম্পর্ক ছিল। আর সেই সম্পর্কের প্রভাবটা পড়েছে আমার বেবি ও আমার নিজের ওপর।

আরও পড়ুনঃ  ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইল পড়ল সৌদি আরবে

টেলিভিশনের অনুষ্ঠানসূত্রে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয় ব্যবসায়ী মুনিরের স্ত্রী জাকিয়া তাজিনের। বাড়ে ঘনিষ্ঠতাও। তাদের কাছের মানুষের কাছ থেকেও শোনা যেত অনৈতিক সম্পর্কের গুঞ্জন। তাকে তালাক দিতে মুনির রাজি না হওয়ায়, সালমান এফ রহমানের গুপ্ত চরিত্রটা বেরিয়ে আসে নগ্নরূপে।

এ বিষয়ে মুনির বলেন, সালমান এফ রহমান আমাকে ডেকে নিয়ে যায় তার অফিসে এবং সেখানে তিনি বলেন যে, তুমি তাজিনকে ডিভোর্স দিবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। সেই সঙ্গে ৩০০ টাকার একটা স্ট্যাম্প দেখিয়ে বলেন যে, তুমি এখানে সই করবা।

আরও পড়ুনঃ  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদের চাঁদা দাবির ভিডিও ভাইরাল

ভুক্তভোগী এ ব্যবসায়ী বলেন, ওই স্ট্যাম্পে ৮টি শর্ত লেখা ছিল। তার মধ্যে ছিল- আমি কখনোই আমার কোম্পানিকে নিজের বলে দাবি করতে পারব না। আমার স্ত্রীর নামে সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভি চ্যানেল কোথাও কোনো অভিযোগ করতে পারব না। আমার ছেলের কাস্টোডি চাইতে পারব না।

মুনির বলেন, তখন আমি বললাম যে, এটা কিসের জন্য। আমার অপরাধটা কী? আমরা হাজব্যান্ড-ওয়াইফ, আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটা আমরা নিজেরাই সমাধান করতে পারব, আমাদের ফ্যামিলিও আছে। তিনি বললেন, না, তা হবে না। সোজা পথ হচ্ছে- তুমি এখন যাবা এবং তোমার স্ত্রীকে তুমি ডিভোর্সের নোটিস পাঠাবা এবং তাকে ডিভোর্স দিবা।

আরও পড়ুনঃ  এবার দ্রব্যমূল্য ক্রয়সীমার মধ্যে আনতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আল্টিমেটাম

তিনি বলেন, তাজিনকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য সলমান এফ রহমান আমাকে এরকম প্রেসার দেওয়ার পরেও আমি যখন রাজি হলাম না, তারপর থেকেই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসলো এবং আমার ওপর ওপেনলি অ্যাটাক শুরু হলো। এর আগ পর্যন্ত কিন্তু বিষয়টা গোপনই ছিল বা কেউ জানত না। এমনকি আমার অফিসের লোকজনও জানত না যে, কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা আমাদের।

সলমান এফ রহমানের এই নারীলিপ্সার বলি হয়ে ব্যবসায়ী শফিউল্লাহ আল মুনিরকে গুম হয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ এক মাস। মামলার হামলায় দুর্বিষহ হয়ে ওঠে তার জীবন। যদিও ২০২০ সালের শেষদিকে তালাক হয়ে যায় তাদের।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ