24.7 C
Dhaka
Tuesday, July 8, 2025

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৮১৯ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ

ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় কমপক্ষে ৮১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)।

এদের মধ্যে ৬৩০ জনের নাম জানা গেলেও ১৮৯ জনের নাম জানতে পারেনি তারা। সংস্থাটির মানবাধিকার পর্যবেক্ষণবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।

এইচআরএসএস জানায়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ ও যুবক। তাদের সংখ্যা ২৪০ জন। আর শিশু নিহত হয়েছে ৮৩ জন।

আরও পড়ুনঃ  অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিশ এসআইদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতা

এ ছাড়া সারাদেশে আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এ সময় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনসহ বিচার প্রক্রিয়া সংস্কার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহবান জানায় এইচআরএসএস।

সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম, হাসপাতাল, প্রত্যক্ষ্যদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তারা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

গত জুলাইয়ের শুরুতে শুধু ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলন হলেও ১৬ তারিখ থেকে তা ছড়িয়ে পরে সারাদেশে। ওই দিন সহিংসতায় নিহত হন ৬ জন।

দিন যত বাড়তে থাকে, তত বাড়তে থাকে সহিংসতা, বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি জানায়, সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে সরকার পতনের দিন।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে দক্ষিণ এশিয়ার নতুন শক্তি বাংলাদেশ

ওই দিন নিহত হয়েছেন ২০৫ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নিহতদের মধ্যে ৩০ বছরের কম বয়সী রয়েছেন ৬৯ শতাংশ।

হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির গবেষণা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে।’

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, ‘সরাসরি হত্যার সঙ্গে জড়িত ও নির্দেশদাতাদের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ের হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।’

এ ছাড়া সহিংসতায় যেসব নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোথা থেকে দেশে এসেছে, সেটিও খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ