১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে নীতিমালা সংশোধন করতে হবে। এজন্য জনপ্রশাসন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত প্রয়োজন। এ দুই মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ে ফাইল চালাচালিতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তবুও আমরা তাগাদা দিচ্ছ যেন দ্রুত নীতিমালা সংশোধন করে পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্র জারি হওয়ার আগে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।’
গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের বয়সসীমা উঠে যাচ্ছে
এখন থেকে শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে প্রার্থীদের বয়স গণনা করতে হবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ)। গণবিজ্ঞপ্তিত প্রকাশের সময় পৃথকভাবে বয়স গণনা করা যাবে না। এর ফলে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সের বাধা উঠে যাচ্ছে।
গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন নিয়ে এ সভা ডাকা হয়েছিল।
সভায় উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের তিন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস। তারা জানিয়েছেন, দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিসিএসসহ সবক্ষেত্রেই বিজ্ঞপ্তি যেদিন প্রকাশিত হয়, সেদিন থেকেই প্রার্থীর বয়স গণনা করা হয়। তবে এনটিআরসিএর ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা এবং গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে বয়স গণনা করা হয়। এর ফলে অনেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অর্জন করলেও বয়স সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারেন না। এ নিয়ম পরিবর্তনের বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেছেন।
তারা জানান, এখন থেকে এনটিআরসিএর নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের সময় প্রার্থীর বয়স যত থাকবে সেটিই হবে মূল বয়স। গণবিজ্ঞপ্তির সময় আলাদা করে আর বয়স গণনা করা হবে না।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একজন প্রার্থীর নিবন্ধন সনদ অর্জন করতে গিয়ে কয়েক বছর লেগে যায়। যার ফলে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় তার বয়স থাকে না। ওই শিক্ষক পরবর্তীতে আবেদনের সুযোগও পান না। এজন্য সংশোধন হতে যাওয়া নীতিমালায় শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় প্রার্থীর বয়স নির্ধারণ করা হবে। গণবিজ্ঞপ্তির সময় আলাদা করে বয়স হিসেব করা হবে না।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘নীতিমালা সংশোধনের বিষয়টি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে এটি প্রকাশ করা হবে। এর আগে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সেটি এই নীতিমালার আওতায় আসবে না।’