রোববার (২৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে মুন্সিগঞ্জে সদর উপজেলার রামপাল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার দীপু টংগিবাড়ী উপজেলার বেতকা এলাকার আবুল কালামের ছেলে। তবে বর্তমানে সে নারায়গঞ্জের ফুতুল্লা এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাসহ অন্যান্য থানায় অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুরে পরীক্ষার শেষপর্যায় রামপাল কলেজের সামনে সড়কে একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে একটি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এ সময় প্রাইভেটকার চালক দীপুসহ আরও দুইজন গাড়ি থেকে বের হয়ে অটোরিকশাচালকের সঙ্গে কথাকাটি হয় তাদের। একপর্যায়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালে প্রাইভেটকার থেকে বেরিয়ে কোমর থেকে অস্ত্র বের করে প্রথমে এক রাউন্ড পরে আরও দুই রাউন্ড গুলি করে গ্রেপ্তার দীপু।
এরপর উপস্থিত ছাত্র-জনতা এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুজন। পরে উপস্থিত লোকজন ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তের প্রাইভেট কার। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে নেয়া হয়েছে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায়। এ ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।
গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত ওই যুবককের কাছে তল্লাশি চালিয়ে ২ রাউন্ড গুলি, একটি ২২ বোরের রিভলবার, ৭০ পিস ইয়াবাসহ প্রাইভেটকার উদ্ধার করে জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন হাতিমাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এমদাদুল হক (৪২), পুলিশ সদস্য সাজেদুর রহমান (২৬) ও রবিউল আলম চৌধুরী (৪৯)।
আহত পুলিশ সদস্যরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের সামনে হট্টগোল সৃষ্টি হলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে পুলিশ, এ সময় গ্রেপ্তার ব্যক্তি প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে বেরিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে। পরে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে। এরপর একপর্যায়ে তাকে আটক করা হয়। তবে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে তার সহযোগীরা।
আহত পুলিশ সদস্যরা আরও জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা বের হওয়ার সময় সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে অন্যান্য পুলিশ সদস্য গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।