বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতার প্রস্তাব আগামীকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের জিও জারির পর এটি আইবাস++ এ পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান।
ইএমআইএস সেল প্রধান জানান, ‘শিক্ষকদের বর্ধিত উৎসব ভাতাতে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আজ এ সংক্রান্ত জিও জারি করার কথা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয়ের জিও জারি হলে আগামীকাল উৎসব ভাতার প্রস্তাব পাঠানো হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
অনেক শিক্ষক বকেয়া বেতন-ভাতা পাননি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। তারা কবে নাগাদ বকেয়া পাবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আজিজুর রহমান জানান, ‘অনেক ভুল অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়েছিলেন। যার ফলে টাকা পাঠানো হলেও তারা পাননি। বাউন্স ব্যাক করেছে। আমরা নতুন করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার নিয়েছি। বাউন্স ব্যাক করা অ্যাকাউন্টে খুব দ্রুত টাকা পাঠানো হবে।’
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। ইতোমধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা এপ্রিলের বেতন পেয়েছেন। আগামী সপ্তাহে তারা মে মাসের বেতন-ভাতাও পাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।