24.7 C
Dhaka
Tuesday, July 8, 2025

রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, আটজনকে কাজী ডেকে বিয়ে

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে ১৬ জন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এসময় আটজনকে কাজী ডেকে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রিসোর্টিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেন।

আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রিজেন্ট পার্ক ঘেরাও করে শিক্ষার্থীদের আটক করেন দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার লোকজন। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের জিম্মায় আটজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় ও বাকি আটজনকে স্থানীয় কাজী ডেকে বিভিন্ন পরিমাণের দেনমোহর ঠিক করে বিয়ে দিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলাম ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারী। বিবাহিতদের মধ্যে তিনজনের ১০ লাখ করে এবং একজনকে ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গ্রেপ্তার

বিয়ে দেওয়া চার যুগলের মধ্যে-সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, ওসমানী নগর উপজেলার বাসিন্দা রয়েছেন।

জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্ক এন্ড রিসোর্টে উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নামে পার্ক হলেও এখানে তরুণ-তরুণীরা অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত থাকেন। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিকারা এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন।

আজ দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে পার্কে হানা দিয়ে তাদের কক্ষের ভেতরেই আটক করেন। এই ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম তাজুল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসভাপতি আবেদ রাজা, বিশিষ্ট মুরব্বি ফজলু মিয়া, শফিকুল হক শফিক, ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম মাসুম, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক রাসেল আহমদ ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেন।

আরও পড়ুনঃ  এবার প্রতিবেশী মুসলিম দেশগুলোকে যে হুমকি দিল ইরান

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম তাজুল বলেন, আমরা খবর পেয়ে মুরব্বিয়ানদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে আটক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এনে আটজনকে বিয়ে পড়িয়ে দিই এবং বাকিদের পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দিই।

এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোগলাবাজার থানা পুলিশ যায়। তবে স্থানীয় মুরুব্বিরা ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় দিয়ে দেন। তবে তিনি বিয়ের বিষয় সম্পর্কে জানেন না বলে জানান।

আরও পড়ুনঃ  নারীর আবেগে রাজনীতি, মোদির সিঁদুর কৌশলে সরব সুনায়না চৌটালা

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি রায় বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ