24.8 C
Dhaka
Tuesday, July 8, 2025

দেশে আরেকটি বড় আন্দোলনের আভাস!

৪৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে দেশে আরেকটি বড় আন্দোলন হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক সহ-মুখপাত্র ও অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তার ওই পোস্টটি শেয়ার করেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরো অনেকেই।

মোহাম্মদ মিরাজ তার পোস্টে বলেন, ‘আমার মনে হয় এ দেশে শিগগিরই আরেকটা বড় আন্দোলন হতে যাচ্ছে, সেটাও হবে চাকরির পরীক্ষাগুলোকে কেন্দ্র করেই! আপনারা জানেন, ৪৪তম বিসিএসের প্রায় ১২ হাজার ক্যান্ডিডেটের সঙ্গে এই রাষ্ট্র আরেকটা বড় প্রতারণা করতে যাচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, চাকরি দেওয়ার মতো অসংখ্য পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সেগুলো সব রেখে দেওয়া হচ্ছে কোনো এক রহস্যজনক কারণে।’

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলের বিগত ৪০তম, ৪১তম এবং ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে পদসংখ্যা বাড়ানো হলেও জুলাইয়ের রক্তের ওপর মাড়িয়ে গঠিত হওয়া সরকারের আমলে পদসংখ্যা বৃদ্ধির কোনো ইতিবাচক লক্ষণ না দেখে সবাই সত্যিকার অর্থেই শঙ্কিত হচ্ছে। কিন্তু এই দায় প্রধান উপদেষ্টাকেই নিতে হবে। তার কার্যালয়ে জনপ্রশাসনসচিব থেকে পদসংখ্যা বৃদ্ধির চিঠি গেলেও সেটাতে প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষর করেননি বলেই এখন সবার কাছে বিবেচিত হচ্ছে।


তিনি আরো বলেন, ‘চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে যেই ধারণা গ্রো করছে, সেটার প্রভাব ভয়াবহ হবে। সবার মধ্যে ধারণা তৈরি হচ্ছে হয়তো আবার সব কিছু দলীয়করণ হতে যাচ্ছে। জেনারেল ক্যাডার ও শিক্ষা ক্যাডারে যথেষ্ট পদ থাকার পরেও ক্যাডার পোস্ট বৃদ্ধি না করার পেছনে কোনো যুক্তি তো নেই! সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়া আমার যোগ্য ক্যান্ডিডেটও আছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদও খালি আছে। কিন্তু এখন আপনি নিয়োগ দিচ্ছেন না! এটা তো চরম অন্যায়।

আরও পড়ুনঃ  সত্যি কি মারা গেছেন তনির স্বামী, যা জানালেন তনি

ইন্টেরিম আমলেই একটা বিশালসংখ্যক পরিক্ষার্থীকে স্বচ্ছতার সঙ্গে রাষ্ট্রের শূন্য পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারত। সেটাও হয়নি।’

মিরাজ বলেন, ‘তা ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘায়িত সময়ের বিসিএস হচ্ছে ৪৪তম বিসিএস। এই বিসিএসে এক ভাইভা দুইবার করে দিয়েছেন ক্যান্ডিডেটরা। বিসিএস চক্রে চার বছর ধরে ঘূর্ণায়মান পরীক্ষার্থীরা সফলতার সঙ্গে প্রিলি, লিখিত, ভাইভা উত্তীর্ণ হলেও আপনাদের সদিচ্ছার অভাবে খালি হাতে ফিরতে হবে তাদের।

জেনারেল ক্যাডার ও শিক্ষা ক্যাডারে যথেষ্ট পদ থাকার পরেও ক্যাডার পোস্ট বৃদ্ধি না করার রহস্যকে ঘিরে সবার মধ্যে যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে, সেটা কিভাবে মোকাবেলা করবেন জানি না। যাদের আন্দোলনের কারণে আজ আপনারা সরকারে তাদের কথা কেন শুনছেন না সেটাও বোধগম্য হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কান পর্যন্ত এই খবরটা পৌঁছানো উচিত। ‘খালি পদ থাকা সত্ত্বেও ড. ইউনূস পদ বাড়াচ্ছেন না’—তার ওপর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উঠা এই অভিযোগ, তার জানা উচিত।”

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ