25.1 C
Dhaka
Tuesday, July 8, 2025

কৃষক সোহাগ মৃধাকে যে উপহার দিলেন খালেদা জিয়া

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের কৃষক সোহাগ মৃধা কোরবানির গরু ‘কালো মানিক’ নামে একটি কোরবানির গরু বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলেন।

পরে ‘কালো মানিক’ গ্রহণ না করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পুনরায় এটি কৃষক সোহাগ মৃধাকে ঈদ উপহার হিসেবে দিয়েছেন। নির্দেশ দিয়েছেন নিজ এলাকায় ফিরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোরবানি সম্পন্ন করতে।

সোহাগ মৃধা বলেন, আমার আর কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। আমার উপহার গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া গ্রহণ করেছেন, আবার আমাকেই সেটি উপহার হিসেবে ফেরত দিয়েছেন। তারেক রহমান স্যার আমার সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলেছেন। আমাকে এবং আমার ছেলেকে ঈদ উপহার দিয়েছেন। আমি এবং আমার পরিবারের সবাই খুব খুশি হয়েছি।

আরও পড়ুনঃ  যে ১২ দেশের মুদ্রা নিয়ে পালাচ্ছিলেন সালমান এফ রহমান

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ৮টার সময় সেই আদরের কালো মানিককে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সোহাগ মৃধা। পরে ঢাকায় পৌঁছালে সোহাগ মৃধার দেওয়া কোররবানির গরু ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোরবানির পশু উপহার দেওয়ার জন্য সোহাগ মৃধা ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া, সোহাগ মৃধা ও তার পরিবারের জন্য গরুটিকে ঈদের বিশেষ উপহার পাঠিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৩৫ মণ ওজনের, ১০ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার বিশাল এই ষাঁড়টি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। কুচকুচে কালো রঙের জন্যই কালো মানিক নামে ডাকা হয় তাকে। ষাঁড়টির এক সময় ১০ লাখ টাকা দাম উঠলেও বিক্রি করেননি সোহাগ। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার হাতে উপহার তুলে দিতে মির্জাগঞ্জ থেকে রওনা দিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। এ জন্য ভাড়া করা হয়েছে তিনটি মিনি ট্রাক। সঙ্গে ছিল ব্যানার, বাজনার দল ও টি-শার্ট পরা সঙ্গীরা।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগ ছেড়ে ইউপি সদস্য বললেন, ‘আমি বিএনপির লোক’

সোহাগ ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান গাভি কিনে লালন-পালন করেন। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গরুটি বেশ বড়সড় একটি বকনা বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভি গরুটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। বাছুরটিকে দেশীয় খাবার ভুসি, খইল, সবুজ ঘাস, খড়কুটা খাইয়ে অতি যত্নে ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেন।

আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোহাগ মৃধা বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। পরিবারের সবার সহায়তায় ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি লালন-পালন করছেন।

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে নতুন তথ্য!

২০১৮ সালের শেষ দিকে মাত্র ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি গাভি কিনে যাত্রা শুরু করেন সোহাগ। সপ্তাহ না যেতেই গাভিটি জন্ম দেয় একটি বাছুরের, এই বাছুরই আজকের কালো মানিক। এরপর দীর্ঘ ছয় বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসা আর যত্নে বড় হয়ে ওঠে ষাঁড়টি।

আপনার মতামত লিখুনঃ
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ