বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী। তবে তাদের বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের একটি ভেন্ডর এ সফটওয়্যার তৈরির কাজ করছে।
মাউশির একটি সূত্র জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে বদলি কার্যক্রম এতদিন ছিল না। বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী বদলির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার তৈরির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যে সফটওয়্যারের ডেমো দেখাতে হবে এবং জুলাইয় মাসের মধ্যে সফটওয়্যার তৈরি করতে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মাউশি পেয়েছে। সফটওয়্যার তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে। তারা দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাস থেকে বদলি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, অক্টোবর মাস জুড়ে বদলি আবেদনগ্রহণ শেষ করা হবে এবং নভেম্বর মাস থেকে শিক্ষকরা বদলি হতে পারবেন। এ ছাড়াও এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আনুষ্ঠানিক বদলি কার্যক্রম না থাকায়, যখন একজন শিক্ষক এক স্কুল বা কলেজ থেকে অন্য স্কুলে বা কলেজে বদলি হন, তখন তার বেতন বন্ধ থাকে। বদলির পর ওই স্কুলে যাওয়ার পর, নানা ধাপ পার হয়ে আবেদনের পর তার বেতন পুনরায় চালু হয়। কিন্তু সফটওয়্যার সিস্টেম চালু হলে এ ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে বলেন তিনি।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে। শিক্ষকরা আগে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে আমলাদের বিরোধীতার কারণে সম্প্রতি সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
পরবর্তীতে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কারণে বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। চলতি বছর থেকে এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।